Skip to main content

স্মার্টফোনের জন্মকথা

 স্মার্টফোনের আবিষ্কার আধুনিক প্রযুক্তির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। এটি এমন একটি ডিভাইস, যা মোবাইল ফোনের সঙ্গে কম্পিউটারের ক্ষমতা মিলিয়ে ব্যবহারকারীর হাতে এনে দিয়েছে একটি বহনযোগ্য ও কার্যক্ষম প্রযুক্তি। স্মার্টফোনের আবিষ্কারের ইতিহাসকে কয়েকটি পর্যায়ে ভাগ করা যায়, এবং বিভিন্ন উদ্ভাবকের অবদান রয়েছে এর বিকাশে।

প্রাথমিক ধাপ:

স্মার্টফোনের ধারণার শুরু হয়েছিল ১৯৯০-এর দশকে। প্রথম যে ফোনটিকে স্মার্টফোন হিসেবে বিবেচনা করা হয়, সেটি হল আইবিএম সিমন (IBM Simon)। এটি বাজারে আসে ১৯৯৪ সালে। সিমন শুধুমাত্র ফোনকল করা ছাড়াও টাচস্ক্রিন, ক্যালেন্ডার, ক্যালকুলেটর, নোটবুক, এবং ইমেইল পাঠানোর ক্ষমতা ছিল। এটি ছিল আধুনিক স্মার্টফোনের পূর্বসূরি।

উন্নত ফিচার ও ইন্টারনেটের সংযোগ:

স্মার্টফোনের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো ইন্টারনেট সংযোগ। ১৯৯৯ সালে, নোকিয়া ৯০০০ সিরিজ এর মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগের সুবিধা আসে, যা পরে আরও উন্নত হয়। এরপর ২০০০-এর দশকের শুরুতে, ব্ল্যাকবেরি এবং পাম ট্রিও ডিভাইসগুলো জনপ্রিয়তা লাভ করে, যেগুলো ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহৃত হত।

আধুনিক স্মার্টফোনের আবির্ভাব:

২০০৭ সালে, অ্যাপল তাদের প্রথম আইফোন বাজারে আনে, যা স্মার্টফোনের জগতে বিপ্লব ঘটায়। আইফোন ছিল সম্পূর্ণ টাচস্ক্রিন নির্ভর এবং এতে অ্যাপস্টোরের মাধ্যমে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করে ফোনের কার্যক্ষমতা বাড়ানো যেত। এই ডিভাইসটিই মূলত স্মার্টফোন শিল্পকে নতুন দিকে নিয়ে যায়।

এরপর ২০০৮ সালে গুগল তাদের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে আসে, যা স্মার্টফোনের আরও বিস্তৃতি ঘটায়। অ্যান্ড্রয়েড-চালিত ডিভাইসগুলো অ্যাপলের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দ্রুত বাজারে ছড়িয়ে পড়ে এবং গ্রাহকদের কাছে বহুল জনপ্রিয় হয়।

বর্তমান স্মার্টফোন:

বর্তমানের স্মার্টফোনগুলোতে বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তি রয়েছে, যেমন: শক্তিশালী প্রসেসর, উচ্চমানের ক্যামেরা, ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, ফেস আইডি, ৫জি ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি, এবং আরও অনেক কিছু। স্মার্টফোন এখন শুধুমাত্র ফোনকল বা মেসেজের জন্য ব্যবহৃত হয় না, এটি বিনোদন, শিক্ষা, ব্যবসা, এবং সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে।

স্মার্টফোনের আবিষ্কার এবং এর ক্রমবিকাশ আধুনিক জীবনে প্রযুক্তির ভূমিকা আরও দৃঢ় করেছে।






Comments

Popular posts from this blog

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে প্রাথমিক যে যে বিষয় গুলো আমাদের মনে রাখা দরকার

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে প্রাথমিক পর্যায়ে আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে  ধারণা থাকা প্রয়োজন। এগুলো আপনার শেখার ভিত্তি মজবুত করবে এবং ভবিষ্যতে সঠিক পথে অগ্রসর হতে সহায়ক হবে। নিচে প্রাথমিক পর্যায়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো: ১. ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ধারণা: ডিজিটাল মার্কেটিং হল অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও চ্যানেল ব্যবহার করে পণ্য বা সেবা প্রচার করার প্রক্রিয়া। এটি অনেক ধরনের উপায়ে করা যায়, যেমন SEO, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, কনটেন্ট মার্কেটিং, পেইড বিজ্ঞাপন ইত্যাদি। ডিজিটাল মার্কেটিং মূলত ব্যবসার ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়াতে, কাস্টমার এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি করতে এবং বিক্রয় বাড়াতে ব্যবহৃত হয়। ২. SEO (Search Engine Optimization): SEO হল ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের একটি প্রাথমিক অংশ যা কোনো ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফলে উপরে নিয়ে আসে। SEO-এর দুটি মূল ভাগ রয়েছে:On-page SEO: ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট, মেটা ট্যাগ, হেডার ট্যাগ, ইমেজ অ্যাল্ট টেক্সট ইত্যাদি অপ্টিমাইজ করা। Off-page SEO: ব্যাকলিংক তৈরি করা, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার করা ইত্যাদি। ৩. সোশ্যাল ম...

উইন্ডোজ 10 এর ব্যবহার

উইন্ডোজ ১০ (Windows 10) মাইক্রোসফটের অপারেটিং সিস্টেম যা ২৯ জুলাই, ২০১৫ সালে মুক্তি পায়। এটি উইন্ডোজ ৮.১ এর উত্তরসূরি এবং গ্রাহকদের জন্য আরো ব্যবহারবান্ধব ও আধুনিক ফিচার সমৃদ্ধ করে তৈরি করা হয়। উইন্ডোজ ১০ বিভিন্ন ধরনের পিসি, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, এবং এক্সবক্স কনসোলের জন্য ব্যবহৃত হয়। উইন্ডোজ ১০-এর প্রধান বৈশিষ্ট্য: স্টার্ট মেনু: উইন্ডোজ ৮ এর চেয়ে অনেক উন্নত করা হয়েছে। এতে অ্যাপ্লিকেশন তালিকা ও লাইভ টাইলস একসাথে থাকে যা ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী সাজানো যায়। কোর্টানা (Cortana): এটি একটি ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট যা ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করতে পারে, যেমন ফাইল খোঁজা, রিমাইন্ডার সেট করা, ইন্টারনেট সার্চ করা ইত্যাদি। মাল্টি-ডেস্কটপ এবং টাস্ক ভিউ (Task View): মাল্টি-ডেস্কটপের মাধ্যমে একাধিক ডেস্কটপ তৈরি করে আলাদা কাজ করতে পারবেন। টাস্ক ভিউ দিয়ে সক্রিয় সব উইন্ডো এক জায়গায় দেখা যায়, যা মাল্টিটাস্কিংকে সহজ করে। মাইক্রোসফট এজ ব্রাউজার: ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের পরিবর্তে এই আধুনিক ব্রাউজারটি যুক্ত করা হয়েছে, যা দ্রুততা এবং সিকিউরিটি নিয়ে আসে। পরবর্তীতে মাইক্রোসফট এজকে ক্রোমিয়াম ব...

ল্যাপটপে উইন্ডোজ 10 সেটআপ এর ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।

  উইন্ডোজ ১০ সেটআপ করার জন্য ধারাবাহিক প্রক্রিয়া নিম্নরূপ: ১. বুটেবল মিডিয়া প্রস্তুত করুন: প্রথমে একটি বুটেবল ইউএসবি ড্রাইভ বা ডিভিডি প্রস্তুত করতে হবে। এটির জন্য "Rufus" বা মাইক্রোসফটের নিজস্ব Media Creation Tool ব্যবহার করা যেতে পারে। ২. BIOS/UEFI তে প্রবেশ: ল্যাপটপ চালু করুন এবং BIOS/UEFI তে প্রবেশ করতে হবে। সাধারণত "Del", "F2", "F10" বা "Esc" বোতাম ব্যবহার করে এটি করা যায়। এখান থেকে বুট অর্ডারে পরিবর্তন করে ইউএসবি/ডিভিডি ড্রাইভ প্রথমে রাখুন। ৩. বুটেবল মিডিয়া থেকে উইন্ডোজ ১০ ইনস্টলেশন শুরু: ল্যাপটপ রিস্টার্ট করলে, বুটেবল মিডিয়া থেকে উইন্ডোজ ১০ সেটআপ চালু হবে। ৪. ভাষা, সময় এবং কীবোর্ড লেআউট নির্বাচন: উইন্ডোজ সেটআপ স্ক্রিনে ভাষা, সময় এবং কীবোর্ড লেআউট নির্বাচন করতে হবে। তারপর Next বোতাম চাপুন। ৫. ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া শুরু: এখন Install Now বোতাম চাপতে হবে। ৬. প্রডাক্ট কী: উইন্ডোজ ১০ এর প্রডাক্ট কী দিতে হবে। যদি আপনার কাছে না থাকে, তাহলে I don’t have a product key বেছে নিতে পারেন। পরে এটি আপডেট করা যাবে। ৭. উইন্ডোজ ভার্সন নির্বাচন...