Skip to main content

উইন্ডোজ 10 এর ব্যবহার

উইন্ডোজ ১০ (Windows 10) মাইক্রোসফটের অপারেটিং সিস্টেম যা ২৯ জুলাই, ২০১৫ সালে মুক্তি পায়। এটি উইন্ডোজ ৮.১ এর উত্তরসূরি এবং গ্রাহকদের জন্য আরো ব্যবহারবান্ধব ও আধুনিক ফিচার সমৃদ্ধ করে তৈরি করা হয়। উইন্ডোজ ১০ বিভিন্ন ধরনের পিসি, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, এবং এক্সবক্স কনসোলের জন্য ব্যবহৃত হয়।

উইন্ডোজ ১০-এর প্রধান বৈশিষ্ট্য:

  1. স্টার্ট মেনু:

    • উইন্ডোজ ৮ এর চেয়ে অনেক উন্নত করা হয়েছে। এতে অ্যাপ্লিকেশন তালিকা ও লাইভ টাইলস একসাথে থাকে যা ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী সাজানো যায়।

  2. কোর্টানা (Cortana):

    • এটি একটি ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট যা ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করতে পারে, যেমন ফাইল খোঁজা, রিমাইন্ডার সেট করা, ইন্টারনেট সার্চ করা ইত্যাদি।

  3. মাল্টি-ডেস্কটপ এবং টাস্ক ভিউ (Task View):

    • মাল্টি-ডেস্কটপের মাধ্যমে একাধিক ডেস্কটপ তৈরি করে আলাদা কাজ করতে পারবেন। টাস্ক ভিউ দিয়ে সক্রিয় সব উইন্ডো এক জায়গায় দেখা যায়, যা মাল্টিটাস্কিংকে সহজ করে।

  4. মাইক্রোসফট এজ ব্রাউজার:

    • ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের পরিবর্তে এই আধুনিক ব্রাউজারটি যুক্ত করা হয়েছে, যা দ্রুততা এবং সিকিউরিটি নিয়ে আসে। পরবর্তীতে মাইক্রোসফট এজকে ক্রোমিয়াম বেসড করে আপডেট করা হয়েছে।

  5. ডাইরেক্টএক্স ১২ (DirectX 12):

    • গেমারদের জন্য DirectX 12 যুক্ত করা হয়েছে, যা গেমিং পারফরমেন্স ও গ্রাফিক্সের মান উন্নত করে।

  6. উইন্ডোজ হ্যালো (Windows Hello):

    • এটি বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশনের জন্য ফিচার। ফেসিয়াল রিকগনিশন বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করে পাসওয়ার্ড ছাড়াই লগইন করা যায়।

  7. অটোমেটিক আপডেট:

    • উইন্ডোজ ১০ নিয়মিতভাবে স্বয়ংক্রিয় আপডেট পায়, যার মাধ্যমে সিস্টেম সিকিউরিটি এবং পারফরমেন্স উন্নত হয়।

  8. এক্সবক্স ইন্টিগ্রেশন:

    • এক্সবক্সের সাথে ইন্টিগ্রেশন করে গেম শেয়ারিং, স্ট্রিমিং, এবং এক্সবক্স লাইভের মতো ফিচারগুলো সহজলভ্য হয়েছে।

সংস্করণসমূহ:

উইন্ডোজ ১০-এর কয়েকটি ভিন্ন সংস্করণ রয়েছে:

  • Windows 10 Home: সাধারন ব্যবহারকারীদের জন্য।

  • Windows 10 Pro: পেশাদার এবং ব্যবসায়িকদের জন্য বিশেষ ফিচার সমৃদ্ধ।

  • Windows 10 Enterprise: বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য উন্নত নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক সুবিধা।

  • Windows 10 Education: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা।

সিস্টেম রিকোয়ারমেন্টস:

  • প্রসেসর: ১ গিগাহার্টজ (GHz) বা তার বেশি।

  • র‍্যাম: ১ গিগাবাইট (GB) (৩২-বিট) অথবা ২ গিগাবাইট (GB) (৬৪-বিট)।

  • স্টোরেজ: ১৬ GB (৩২-বিট) অথবা ২০ GB (৬৪-বিট)।

  • গ্রাফিক্স: DirectX 9 বা তার চেয়ে উন্নত।

  • ডিসপ্লে: ৮০০x৬০০ পিক্সেল রেজুলেশন।

উইন্ডোজ ১০-এর সুবিধা:

  • সহজ ইন্টারফেস।

  • উন্নত সিকিউরিটি ফিচার।

  • রেগুলার আপডেট।

  • মাল্টিটাস্কিং সুবিধা।


উইন্ডোজ ১০ একটি বহুমুখী অপারেটিং সিস্টেম যা ব্যক্তিগত, পেশাদারী এবং ব্যবসায়িক সকল ক্ষেত্রেই উপযোগী।




Comments

Popular posts from this blog

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে প্রাথমিক যে যে বিষয় গুলো আমাদের মনে রাখা দরকার

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে প্রাথমিক পর্যায়ে আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে  ধারণা থাকা প্রয়োজন। এগুলো আপনার শেখার ভিত্তি মজবুত করবে এবং ভবিষ্যতে সঠিক পথে অগ্রসর হতে সহায়ক হবে। নিচে প্রাথমিক পর্যায়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো: ১. ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ধারণা: ডিজিটাল মার্কেটিং হল অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও চ্যানেল ব্যবহার করে পণ্য বা সেবা প্রচার করার প্রক্রিয়া। এটি অনেক ধরনের উপায়ে করা যায়, যেমন SEO, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, কনটেন্ট মার্কেটিং, পেইড বিজ্ঞাপন ইত্যাদি। ডিজিটাল মার্কেটিং মূলত ব্যবসার ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়াতে, কাস্টমার এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি করতে এবং বিক্রয় বাড়াতে ব্যবহৃত হয়। ২. SEO (Search Engine Optimization): SEO হল ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের একটি প্রাথমিক অংশ যা কোনো ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফলে উপরে নিয়ে আসে। SEO-এর দুটি মূল ভাগ রয়েছে:On-page SEO: ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট, মেটা ট্যাগ, হেডার ট্যাগ, ইমেজ অ্যাল্ট টেক্সট ইত্যাদি অপ্টিমাইজ করা। Off-page SEO: ব্যাকলিংক তৈরি করা, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার করা ইত্যাদি। ৩. সোশ্যাল ম...

ল্যাপটপে উইন্ডোজ 10 সেটআপ এর ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।

  উইন্ডোজ ১০ সেটআপ করার জন্য ধারাবাহিক প্রক্রিয়া নিম্নরূপ: ১. বুটেবল মিডিয়া প্রস্তুত করুন: প্রথমে একটি বুটেবল ইউএসবি ড্রাইভ বা ডিভিডি প্রস্তুত করতে হবে। এটির জন্য "Rufus" বা মাইক্রোসফটের নিজস্ব Media Creation Tool ব্যবহার করা যেতে পারে। ২. BIOS/UEFI তে প্রবেশ: ল্যাপটপ চালু করুন এবং BIOS/UEFI তে প্রবেশ করতে হবে। সাধারণত "Del", "F2", "F10" বা "Esc" বোতাম ব্যবহার করে এটি করা যায়। এখান থেকে বুট অর্ডারে পরিবর্তন করে ইউএসবি/ডিভিডি ড্রাইভ প্রথমে রাখুন। ৩. বুটেবল মিডিয়া থেকে উইন্ডোজ ১০ ইনস্টলেশন শুরু: ল্যাপটপ রিস্টার্ট করলে, বুটেবল মিডিয়া থেকে উইন্ডোজ ১০ সেটআপ চালু হবে। ৪. ভাষা, সময় এবং কীবোর্ড লেআউট নির্বাচন: উইন্ডোজ সেটআপ স্ক্রিনে ভাষা, সময় এবং কীবোর্ড লেআউট নির্বাচন করতে হবে। তারপর Next বোতাম চাপুন। ৫. ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া শুরু: এখন Install Now বোতাম চাপতে হবে। ৬. প্রডাক্ট কী: উইন্ডোজ ১০ এর প্রডাক্ট কী দিতে হবে। যদি আপনার কাছে না থাকে, তাহলে I don’t have a product key বেছে নিতে পারেন। পরে এটি আপডেট করা যাবে। ৭. উইন্ডোজ ভার্সন নির্বাচন...