ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে প্রাথমিক যে যে বিষয় গুলো আমাদের মনে রাখা দরকার

ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে প্রাথমিক পর্যায়ে আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে  ধারণা থাকা প্রয়োজন। এগুলো আপনার শেখার ভিত্তি মজবুত করবে এবং ভবিষ্যতে সঠিক পথে অগ্রসর হতে সহায়ক হবে। নিচে প্রাথমিক পর্যায়ের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হলো:

১. ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ধারণা:
ডিজিটাল মার্কেটিং হল অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও চ্যানেল ব্যবহার করে পণ্য বা সেবা প্রচার করার প্রক্রিয়া। এটি অনেক ধরনের উপায়ে করা যায়, যেমন SEO, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, কনটেন্ট মার্কেটিং, পেইড বিজ্ঞাপন ইত্যাদি। ডিজিটাল মার্কেটিং মূলত ব্যবসার ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়াতে, কাস্টমার এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি করতে এবং বিক্রয় বাড়াতে ব্যবহৃত হয়।

২. SEO (Search Engine Optimization):
SEO হল ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের একটি প্রাথমিক অংশ যা কোনো ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের ফলাফলে উপরে নিয়ে আসে। SEO-এর দুটি মূল ভাগ রয়েছে:On-page SEO: ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট, মেটা ট্যাগ, হেডার ট্যাগ, ইমেজ অ্যাল্ট টেক্সট ইত্যাদি অপ্টিমাইজ করা।

Off-page SEO: ব্যাকলিংক তৈরি করা, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার করা ইত্যাদি।

৩. সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং:
বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম যেমন Facebook, Instagram, LinkedIn, Twitter, YouTube ব্যবহার করে টার্গেট অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছানো। এর মধ্যে পোস্ট, বিজ্ঞাপন ও ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং অন্তর্ভুক্ত।

৪. ইমেইল মার্কেটিং:
ইমেইল মার্কেটিং হল সরাসরি গ্রাহকদের ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা এবং তাদের কাছে অফার, খবর বা কোনো পণ্য বা সেবার তথ্য পাঠানো। এটি খুবই কার্যকরী একটি মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি, যদি তা সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়।

৫. কনটেন্ট মার্কেটিং:
কনটেন্ট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে মূলত মূল্যবান, প্রাসঙ্গিক এবং আকর্ষণীয় কনটেন্ট তৈরি ও প্রচার করা হয়। এর মাধ্যমে ব্যবসার ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়ানোর পাশাপাশি গ্রাহকদের আস্থা অর্জন করা যায়।

৬. পেইড মার্কেটিং (PPC):
Pay-Per-Click (PPC) হল এক ধরনের বিজ্ঞাপনী কৌশল যেখানে বিজ্ঞাপনদাতারা প্রতিবার তাদের বিজ্ঞাপন ক্লিক করা হলে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা প্রদান করেন। Google Ads, Facebook Ads-এর মতো প্ল্যাটফর্মে এ ধরনের বিজ্ঞাপন দেওয়া যায়।

৭. ওয়েব অ্যানালিটিক্স:
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের কার্যকারিতা পরিমাপ করা এবং ডেটা বিশ্লেষণ করা গুরুত্বপূর্ণ। Google Analytics এর মতো টুল ব্যবহার করে ওয়েবসাইটে আসা ভিজিটরদের আচরণ বিশ্লেষণ করা হয়। এর মাধ্যমে কোন স্ট্র্যাটেজি কাজ করছে এবং কোনটা পরিবর্তন করা উচিত তা বোঝা যায়।

৮. কাস্টমার সেগমেন্টেশন:
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ে কাস্টমারদের সঠিকভাবে সেগমেন্ট করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন গ্রুপে ভাগ করে টার্গেট অডিয়েন্সের জন্য পার্সোনালাইজড মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি তৈরি করা সহজ হয়।

৯. ব্র্যান্ডিং ও রেপুটেশন ম্যানেজমেন্ট:
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে একটি ব্র্যান্ডের পরিচিতি ও বিশ্বাসযোগ্যতা গড়ে তোলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কাস্টমারের ফিডব্যাক ও মন্তব্যগুলোর প্রতি সঠিক মনোযোগ দেওয়া এবং প্রয়োজন অনুযায়ী তাদের সমস্যার সমাধান করা জরুরি।

১০. নেটওয়ার্কিং ও কমিউনিকেশন স্কিল:
ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো নেটওয়ার্কিং। বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে অন্যান্য প্রফেশনালদের সঙ্গে যুক্ত হওয়া এবং যোগাযোগ করা শেখা জরুরি।

প্রাথমিক পর্যায়ে এসব বিষয়গুলো ভালোভাবে রপ্ত করতে পারলে, পরবর্তী ধাপে আরও গভীরভাবে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের বিভিন্ন টুল এবং স্ট্র্যাটেজি শিখতে পারবেন।




ল্যাপটপে উইন্ডোজ 10 সেটআপ এর ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।

 উইন্ডোজ ১০ সেটআপ করার জন্য ধারাবাহিক প্রক্রিয়া নিম্নরূপ:

১. বুটেবল মিডিয়া প্রস্তুত করুন:

  • প্রথমে একটি বুটেবল ইউএসবি ড্রাইভ বা ডিভিডি প্রস্তুত করতে হবে। এটির জন্য "Rufus" বা মাইক্রোসফটের নিজস্ব Media Creation Tool ব্যবহার করা যেতে পারে।

২. BIOS/UEFI তে প্রবেশ:

  • ল্যাপটপ চালু করুন এবং BIOS/UEFI তে প্রবেশ করতে হবে। সাধারণত "Del", "F2", "F10" বা "Esc" বোতাম ব্যবহার করে এটি করা যায়।

  • এখান থেকে বুট অর্ডারে পরিবর্তন করে ইউএসবি/ডিভিডি ড্রাইভ প্রথমে রাখুন।

৩. বুটেবল মিডিয়া থেকে উইন্ডোজ ১০ ইনস্টলেশন শুরু:

  • ল্যাপটপ রিস্টার্ট করলে, বুটেবল মিডিয়া থেকে উইন্ডোজ ১০ সেটআপ চালু হবে।

৪. ভাষা, সময় এবং কীবোর্ড লেআউট নির্বাচন:

  • উইন্ডোজ সেটআপ স্ক্রিনে ভাষা, সময় এবং কীবোর্ড লেআউট নির্বাচন করতে হবে। তারপর Next বোতাম চাপুন।

৫. ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া শুরু:

  • এখন Install Now বোতাম চাপতে হবে।

৬. প্রডাক্ট কী:

  • উইন্ডোজ ১০ এর প্রডাক্ট কী দিতে হবে। যদি আপনার কাছে না থাকে, তাহলে I don’t have a product key বেছে নিতে পারেন। পরে এটি আপডেট করা যাবে।

৭. উইন্ডোজ ভার্সন নির্বাচন:

  • আপনার ইচ্ছামত উইন্ডোজ ১০ এর ভার্সন নির্বাচন করুন (যেমন Home, Pro) এবং Next চাপুন।

৮. লাইসেন্স শর্তাবলী গ্রহণ:

  • উইন্ডোজ এর লাইসেন্স শর্তাবলী গ্রহণ করে Next এ ক্লিক করুন।

৯. ইনস্টলেশন টাইপ নির্বাচন:

  • যদি উইন্ডোজ নতুনভাবে ইনস্টল করতে চান, তাহলে Custom: Install Windows only (advanced) বেছে নিন।

১০. ড্রাইভ পার্টিশন তৈরি বা নির্বাচন:

  • আপনার ল্যাপটপে থাকা হার্ড ড্রাইভ থেকে কোন ড্রাইভে উইন্ডোজ ইনস্টল করতে চান সেটি নির্বাচন করুন। নতুন পার্টিশন তৈরি করতে পারেন বা বিদ্যমান পার্টিশনে ইনস্টল করতে পারেন। Next চাপুন।

১১. ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া:

  • এরপর উইন্ডোজ ১০ এর ইনস্টলেশন প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা কয়েক মিনিট সময় নিতে পারে। এসময় ল্যাপটপ একাধিকবার রিস্টার্ট হতে পারে।

১২. সেটআপ কনফিগারেশন:

  • ইনস্টলেশন শেষে, উইন্ডোজ ১০ এর প্রাথমিক সেটআপ স্ক্রিন আসবে। এখানে আপনার পছন্দ অনুযায়ী:

    • দেশ নির্বাচন

    • কীবোর্ড লেআউট নির্বাচন

    • ইন্টারনেট কানেকশন স্থাপন

    • Microsoft একাউন্টে লগইন বা অফলাইন একাউন্ট তৈরি

১৩. সেটআপ সম্পন্ন:

  • প্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল এবং সেটিংস কনফিগার করার পর আপনার ল্যাপটপ উইন্ডোজ ১০ ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত।


ই পুরো প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে আপনি সহজেই ল্যাপটপে উইন্ডোজ ১০ সেটআপ করতে পারবেন।




উইন্ডোজ 10 এর ব্যবহার

উইন্ডোজ ১০ (Windows 10) মাইক্রোসফটের অপারেটিং সিস্টেম যা ২৯ জুলাই, ২০১৫ সালে মুক্তি পায়। এটি উইন্ডোজ ৮.১ এর উত্তরসূরি এবং গ্রাহকদের জন্য আরো ব্যবহারবান্ধব ও আধুনিক ফিচার সমৃদ্ধ করে তৈরি করা হয়। উইন্ডোজ ১০ বিভিন্ন ধরনের পিসি, ল্যাপটপ, ট্যাবলেট, এবং এক্সবক্স কনসোলের জন্য ব্যবহৃত হয়।

উইন্ডোজ ১০-এর প্রধান বৈশিষ্ট্য:

  1. স্টার্ট মেনু:

    • উইন্ডোজ ৮ এর চেয়ে অনেক উন্নত করা হয়েছে। এতে অ্যাপ্লিকেশন তালিকা ও লাইভ টাইলস একসাথে থাকে যা ব্যবহারকারীর প্রয়োজন অনুযায়ী সাজানো যায়।

  2. কোর্টানা (Cortana):

    • এটি একটি ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট যা ভয়েস কমান্ডের মাধ্যমে বিভিন্ন কাজ সম্পাদন করতে পারে, যেমন ফাইল খোঁজা, রিমাইন্ডার সেট করা, ইন্টারনেট সার্চ করা ইত্যাদি।

  3. মাল্টি-ডেস্কটপ এবং টাস্ক ভিউ (Task View):

    • মাল্টি-ডেস্কটপের মাধ্যমে একাধিক ডেস্কটপ তৈরি করে আলাদা কাজ করতে পারবেন। টাস্ক ভিউ দিয়ে সক্রিয় সব উইন্ডো এক জায়গায় দেখা যায়, যা মাল্টিটাস্কিংকে সহজ করে।

  4. মাইক্রোসফট এজ ব্রাউজার:

    • ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের পরিবর্তে এই আধুনিক ব্রাউজারটি যুক্ত করা হয়েছে, যা দ্রুততা এবং সিকিউরিটি নিয়ে আসে। পরবর্তীতে মাইক্রোসফট এজকে ক্রোমিয়াম বেসড করে আপডেট করা হয়েছে।

  5. ডাইরেক্টএক্স ১২ (DirectX 12):

    • গেমারদের জন্য DirectX 12 যুক্ত করা হয়েছে, যা গেমিং পারফরমেন্স ও গ্রাফিক্সের মান উন্নত করে।

  6. উইন্ডোজ হ্যালো (Windows Hello):

    • এটি বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশনের জন্য ফিচার। ফেসিয়াল রিকগনিশন বা ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যবহার করে পাসওয়ার্ড ছাড়াই লগইন করা যায়।

  7. অটোমেটিক আপডেট:

    • উইন্ডোজ ১০ নিয়মিতভাবে স্বয়ংক্রিয় আপডেট পায়, যার মাধ্যমে সিস্টেম সিকিউরিটি এবং পারফরমেন্স উন্নত হয়।

  8. এক্সবক্স ইন্টিগ্রেশন:

    • এক্সবক্সের সাথে ইন্টিগ্রেশন করে গেম শেয়ারিং, স্ট্রিমিং, এবং এক্সবক্স লাইভের মতো ফিচারগুলো সহজলভ্য হয়েছে।

সংস্করণসমূহ:

উইন্ডোজ ১০-এর কয়েকটি ভিন্ন সংস্করণ রয়েছে:

  • Windows 10 Home: সাধারন ব্যবহারকারীদের জন্য।

  • Windows 10 Pro: পেশাদার এবং ব্যবসায়িকদের জন্য বিশেষ ফিচার সমৃদ্ধ।

  • Windows 10 Enterprise: বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের জন্য উন্নত নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক সুবিধা।

  • Windows 10 Education: শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা।

সিস্টেম রিকোয়ারমেন্টস:

  • প্রসেসর: ১ গিগাহার্টজ (GHz) বা তার বেশি।

  • র‍্যাম: ১ গিগাবাইট (GB) (৩২-বিট) অথবা ২ গিগাবাইট (GB) (৬৪-বিট)।

  • স্টোরেজ: ১৬ GB (৩২-বিট) অথবা ২০ GB (৬৪-বিট)।

  • গ্রাফিক্স: DirectX 9 বা তার চেয়ে উন্নত।

  • ডিসপ্লে: ৮০০x৬০০ পিক্সেল রেজুলেশন।

উইন্ডোজ ১০-এর সুবিধা:

  • সহজ ইন্টারফেস।

  • উন্নত সিকিউরিটি ফিচার।

  • রেগুলার আপডেট।

  • মাল্টিটাস্কিং সুবিধা।


উইন্ডোজ ১০ একটি বহুমুখী অপারেটিং সিস্টেম যা ব্যক্তিগত, পেশাদারী এবং ব্যবসায়িক সকল ক্ষেত্রেই উপযোগী।




স্মার্টফোনের জন্মকথা

 স্মার্টফোনের আবিষ্কার আধুনিক প্রযুক্তির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। এটি এমন একটি ডিভাইস, যা মোবাইল ফোনের সঙ্গে কম্পিউটারের ক্ষমতা মিলিয়ে ব্যবহারকারীর হাতে এনে দিয়েছে একটি বহনযোগ্য ও কার্যক্ষম প্রযুক্তি। স্মার্টফোনের আবিষ্কারের ইতিহাসকে কয়েকটি পর্যায়ে ভাগ করা যায়, এবং বিভিন্ন উদ্ভাবকের অবদান রয়েছে এর বিকাশে।

প্রাথমিক ধাপ:

স্মার্টফোনের ধারণার শুরু হয়েছিল ১৯৯০-এর দশকে। প্রথম যে ফোনটিকে স্মার্টফোন হিসেবে বিবেচনা করা হয়, সেটি হল আইবিএম সিমন (IBM Simon)। এটি বাজারে আসে ১৯৯৪ সালে। সিমন শুধুমাত্র ফোনকল করা ছাড়াও টাচস্ক্রিন, ক্যালেন্ডার, ক্যালকুলেটর, নোটবুক, এবং ইমেইল পাঠানোর ক্ষমতা ছিল। এটি ছিল আধুনিক স্মার্টফোনের পূর্বসূরি।

উন্নত ফিচার ও ইন্টারনেটের সংযোগ:

স্মার্টফোনের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো ইন্টারনেট সংযোগ। ১৯৯৯ সালে, নোকিয়া ৯০০০ সিরিজ এর মাধ্যমে ইন্টারনেট সংযোগের সুবিধা আসে, যা পরে আরও উন্নত হয়। এরপর ২০০০-এর দশকের শুরুতে, ব্ল্যাকবেরি এবং পাম ট্রিও ডিভাইসগুলো জনপ্রিয়তা লাভ করে, যেগুলো ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহৃত হত।

আধুনিক স্মার্টফোনের আবির্ভাব:

২০০৭ সালে, অ্যাপল তাদের প্রথম আইফোন বাজারে আনে, যা স্মার্টফোনের জগতে বিপ্লব ঘটায়। আইফোন ছিল সম্পূর্ণ টাচস্ক্রিন নির্ভর এবং এতে অ্যাপস্টোরের মাধ্যমে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোড করে ফোনের কার্যক্ষমতা বাড়ানো যেত। এই ডিভাইসটিই মূলত স্মার্টফোন শিল্পকে নতুন দিকে নিয়ে যায়।

এরপর ২০০৮ সালে গুগল তাদের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে আসে, যা স্মার্টফোনের আরও বিস্তৃতি ঘটায়। অ্যান্ড্রয়েড-চালিত ডিভাইসগুলো অ্যাপলের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দ্রুত বাজারে ছড়িয়ে পড়ে এবং গ্রাহকদের কাছে বহুল জনপ্রিয় হয়।

বর্তমান স্মার্টফোন:

বর্তমানের স্মার্টফোনগুলোতে বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তি রয়েছে, যেমন: শক্তিশালী প্রসেসর, উচ্চমানের ক্যামেরা, ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, ফেস আইডি, ৫জি ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি, এবং আরও অনেক কিছু। স্মার্টফোন এখন শুধুমাত্র ফোনকল বা মেসেজের জন্য ব্যবহৃত হয় না, এটি বিনোদন, শিক্ষা, ব্যবসা, এবং সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হয়ে উঠেছে।

স্মার্টফোনের আবিষ্কার এবং এর ক্রমবিকাশ আধুনিক জীবনে প্রযুক্তির ভূমিকা আরও দৃঢ় করেছে।






ফ্রিল্যাংসিং জগতে আমার পছন্দের সেক্টর

 ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে আমার আগ্রহ খুবই প্রাসঙ্গিক এবং মনে করি এটি ভবিষ্যতের জন্য খুব  সম্ভাবনাময় একটি ক্ষেত্র। এই সেক্টরে কাজ করতে গেলে ক্রিয়েটিভিটি, বিশ্লেষণ ক্ষমতা এবং  প্রযুক্তিগত জ্ঞান প্রয়োজন হয়।

আমার ক্ষেত্রে, গণিতের ভালো ধারণা আছে যার কারণে ডেটা বিশ্লেষণ এবং সঠিকভাবে ট্রেন্ড ও কৌশল নির্ধারণ করতে আমি বাড়তি সুবিধা পাব বলে মনে করছি। ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, কন্টেন্ট মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং, SEO (Search Engine Optimization) এবং বিজ্ঞাপন পরিচালনা ইত্যাদি বিভিন্ন শাখা রয়েছে।

ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলিতে এই সেক্টরে প্রচুর কাজ পাওয়া যায়, এবং আমি ধীরে ধীরে নিজেকে এই ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে পারবো।





আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা

আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা খুবই অর্থবহ এবং প্রশংসনীয়। আমি আমার জীবনকে এমনভাবে গড়ে তুলতে চাই, যাতে নিজের এবং পরিবারের জন্য একটি স্থিতিশীল এবং সুখী জীবন নিশ্চিত করা যায়। আমার ইচ্ছা ভাল বেতনের একটি চাকরি পাওয়া, যা আমার পরিবারকে আর্থিকভাবে সহায়তা প্রদান করবে এবং বাবার কষ্ট লাঘব করবে। বাবার কষ্ট লাঘব করার স্বপ্নটি  আমার পারিবারিক দায়িত্ববোধের প্রতিফলন। এছাড়া, আমি সমাজের অবহেলিত ও দরিদ্র মানুষদের পাশে দাঁড়াতে চাই, যা আমার মানবিক গুণাবলীর প্রকাশ ঘটাবে। গরীবদের সাহায্য করার ইচ্ছা আমার উদার মনের পরিচায়ক, এবং এটি সমাজে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।

আমার পরিকল্পনাগুলো বাস্তবায়নের জন্য অধ্যবসায়, সততা, এবং পরিশ্রমের বিকল্প নেই। তাই কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এগিয়ে যাই আমার লক্ষ্যে পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে।






আমার পছন্দের বিষয়সমূহ

সুপ্রিয় সবাই,

আমি মোহাঃ রিফাত হোসেন, বর্তমানে অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র। আমি পড়াশোনার পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের প্রতি গভীর আগ্রহ অনুভব করি এবং এই ক্ষেত্রের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছি। আমার পড়াশোনায় আমি ভাল ফলাফল অর্জন করেছি, যা আমার অধ্যবসায় ও পরিশ্রমের ফল।

আমার শখের মধ্যে রয়েছে বই পড়া, বাগান করা এবং পরিবারের সাথে আড্ডা দেওয়া। এইসব শখ আমাকে মানসিকভাবে প্রশান্তি দেয় এবং জীবনকে আরও সুন্দর করে তোলে।

আমার লক্ষ্য হলো ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের বিভিন্ন কৌশল শিখে এ ক্ষেত্রে দক্ষতা অর্জন করা এবং সেই দক্ষতা ব্যবহার করে আয় উপার্জন করা। আমি বিশ্বাস করি, কঠোর পরিশ্রম ও সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে আমি আমার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারব।

আপনাদের সাথে পরিচিত হয়ে আমি আনন্দিত এবং ভবিষ্যতে নতুন সুযোগ ও অভিজ্ঞতার অপেক্ষায় আছি।

শুভেচ্ছান্তে,

মোহাঃ রিফাত হোসেন